মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৫, ০৯:০৩

দেশ ও প্রবাসের পাঠকের মুখপত্র চাঁদপুর কণ্ঠ

রোটা. মো. জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়
দেশ ও প্রবাসের পাঠকের মুখপত্র চাঁদপুর কণ্ঠ

লেখার শুরুতেই চাঁদপুর কণ্ঠের জন্মদিনের কবিতা দিয়ে শুরু করছি যদিও সে মানের লেখক, কিংবা কবি আমি নই, তবুও ভালোলাগা, ভালোবাসার জায়গা থেকে চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে থাকা। কণ্ঠের জন্মদিনে গাইবো মোরা গান কণ্ঠের জন্যে। লেখা আমার এই কবিতাটি দিয়ে শুরু করছি...

চাঁদপুর কণ্ঠের জন্মদিনে গাইবো মোরা গান

সেই গানেতে উঠবে মেতে সকল নতুন প্রাণ

আয়রে নবীন আয়রে প্রবীণ আয়রে তোরা আয়

সেই গানেতে উঠবে মেতে সকল নতুন প্রাণ।

চাঁদপুর কণ্ঠের জন্মদিনে গাইবো মোরা গান

সেই গানেতে উঠবে মেতে সকল নতুন প্রাণ,

দেশ-প্রবাসের মুখপত্র চাঁদপুর কণ্ঠ ভাই,

তাইতো মোরা সবাই মিলে গান গেয়ে যাই।

চাঁদপুর কণ্ঠের জন্মদিনে গাইবো মোরা গান

এই গানেতে উঠবে মেতে সকল নতুন প্রাণ...

প্রিয় পাঠক! দেখতে দেখতে চাঁদপুর কণ্ঠ প্রায় তিন যুগের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ১৭ জুন ২০২৫ কণ্ঠের জন্মদিন শুনেই ভালো লাগছে। কী লিখবো প্রিয় পত্রিকাটিকে নিয়ে ভেবে পাচ্ছিলাম না। কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক শ্রদ্ধেয় রোটারিয়ান কাজী শাহাদাত ভাই একটি ম্যাসেজ দিলেন কণ্ঠের জন্মদিন উপলক্ষে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বসে ভাবতে লাগলাম, একজন গণমাধ্যমকর্মী, সংস্কৃতি কর্মী, সামাজিক কর্মী, থিয়েটার কর্মী, টেলিভিশন অভিনেতা, কবি, সাহিত্যিক ও সংগঠক হিসেবে কী লিখতে পারি। প্রচণ্ড ভাবনায় পড়ে গেলাম আমি। তবু লিখতে হবে তাই সাহস করে লেখা শুরু করে দিলাম। এরই মধ্যে চাঁদপুর কণ্ঠের ম্যানেজার সেলিম রেজা ভাই ১২ জুন কল দিয়ে আবারো স্মরণ করিয়ে দিলেন চাঁদপুর কণ্ঠের জন্মদিনের কথা। বললেন বিশেষ একটি সাময়িকী বের হবে, সেখানে আমাকে একটা লিখা পাঠাতে। বললাম, কোনো সমস্যা নেই। আমি চেষ্টা করবো আমার জায়গা থেকে, যেহেতু কথা দিয়েছি।

চাঁদপুর কণ্ঠের পাঠক ফোরাম বিভাগের সম্পাদক কবি, প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিক, গবেষক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান থেকে আমার লিখার ক্ষেত্রে উৎসাহ পেয়েছি দীর্ঘ ৪-৫ বছর ধরে, যেটি বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না। ’৯০ দশকের পর থেকেই ছড়া, কবিতা লিখে জীবন শুরু করেছি। আজও সেটি চলমান রয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমার নিজের লেখা পাঁচটি বই ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। যৌথভাবে চাঁদপুরের বিশিষ্ট লেখকদের প্রকাশিত বইটিতেও আমার লেখা রয়েছে।

চাঁদপুর কণ্ঠের প্রকাশক ও সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশার ভাই, উনার কথা লিখে বা বলে শেষ করা যাবে না, যদি তিনি কণ্ঠ নামের পত্রিকাটি প্রকাশ করার চিন্তা না করতেন, তাহলে হয়তো বা চাঁদপুর কণ্ঠ নামের পত্রিকা পাঠক হিসেবে চাঁদপুর কিংবা দেশের বাইরে কেউ পেতো না। এজন্যে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই কণ্ঠের সম্পাদক এবং প্রকাশক মহোদয়কে।

বিশেষ ধন্যবাদ জানাই পত্রিকাটির সাথে সম্পৃক্ত থেকে উৎসাহ যুগিয়ে যাচ্ছেন যিনি, তিনি হচ্ছেন উপদেষ্টা সম্পাদক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিলকিস আজিজ। এই পত্রিকাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার পর থেকে আজ অবধি দেখেছি, নীরবে তিনি সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকাটি প্রথমে গুয়াখোলা রোড, তারপর রেড ক্রিসেন্ট ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায়, তারপর ডা. এমএ গফুর সাহেবের ভবনে নিজেদের অফিস চালিয়েছে, এখন আবার কণ্ঠ অফিসের আরেকটি নতুন ঠিকানা হতে যাচ্ছে।

প্রায় সময় আমি আক্ষেপ করে বলি কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত ভাইকে, যখন চাঁদপুর কণ্ঠের জন্ম হয় তখন চাঁদপুরে কোনো পত্রিকা ছিলো না, আর থাকলেও পাঠপ্রিয়তায় ছিল না। তখন চাইলেই তো কণ্ঠ নামের ভবন করা সম্ভব ছিলো, কেন করা হয়নি? তিনি সাবলীলভাবে বলে থাকেন, আসলেই পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক যিনি, তিনি চাইলেই করতে পারতেন, কেন যে করলেন না সেটি তিনিও জানেন না।

যাহোক, ভালোলাগা থেকেই পত্রিকার সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকবো একজন গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে, সংস্কৃতি কর্মী হিসেবে, সমাজকর্মী হিসেবে। চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত প্রত্যেকটি পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত সকলের সাথেই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে ব্যক্তিগতভাবে আমার।

ক্ষণিকের জীবনে ক্ষুদ্র একজন মানুষ হিসেবে আমি চাই সকলের সাথেই সুসম্পর্ক রেখে ইমানের সঙ্গে দুনিয়ার থেকে বিদায় নিতে।

বিশেষ করে চাঁদপুর কণ্ঠের প্রিয় মির্জা জাকির ভাই, আহসান ভাই, সেলিম ভাই, জিয়া ভাই, উজ্জ্বল ভাই, সহকর্মী মইনুল ইসলাম কাজল ভাই, জমির হোসেন ভাই, কামরুজ্জামান টুটুল ভাই, প্রবীর চক্রবর্তী ভাইসহ চাঁদপুর কণ্ঠের সকল উপজেলা প্রতিনিধি, পরিবারের সদস্য হিসেবে আরো যারা রয়েছেন, আমার পক্ষ থেকে সকলের জন্যে শুভ কামনা।

আজ আমি যে লিখাটি লিখছি, এটি হয়তো আমার শেষ লেখা হতে পারে। আমরা ভবিষ্যতের কথা বলে থাকি, ভবিষ্যৎ মানেই নিশ্চিত মৃত্যু।

কারণ মৃত্যুর হাত থেকে কারো রক্ষা নেই এটা চিরন্তন সত্য। একদিন চাঁদপুর কণ্ঠ থাকবে, আমাদের সকলের লেখা থাকবে, হয়তো আমি আপনি আমরা কেউই থাকবো না। সেদিন কেউ স্মরণ করবে, আবার কেউ করবে না। তবু থেকে যাবেই সবকিছুই আগের মতোই।

চাঁদপুর কণ্ঠের সহকর্মী হিসেবে অনেকেই জড়িত ছিলেন। তারা আজকে বিভিন্ন পত্রিকায় সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন, জাতীয় পত্রিকায় ভালো দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের জন্যে শুভ কামনা।

লেখক পরিচিতি : রোটা. মো. জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, বিশেষ প্রতিনিধি ও সৌদি আরব ব্যুরো ইনচার্জ, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ; মার্কেটিং ডিরেক্টর, রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাস অনুমোদিত প্রবাসী সেবা কেন্দ্র ইডিসি-বাথা, রিয়াদ, সৌদি আরব।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়