শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১:৫৯

প্রথম আলোর নামের সাথে কাজের মিল আছে

--জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল ইসলাম সরকার

--জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল ইসলাম সরকার
প্রথম আলোর নামের সাথে কাজের মিল আছে

আমি প্রথম আলো পত্রিকা ও পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাই। কারণ আমি নিজেও প্রথম আলোর একজন পাঠক। আমি বলবো, প্রথম আলো পত্রিকাটি জনসাধারণের মন জয় করেছে অনেক আগেই। প্রথম আলোর নামের সাথে কাজের সম্পর্কের মিল আছে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। গণমাধ্যমকর্মীরা কিংবা যারা পত্রিকায় লিখে সমাজের কথা বলেন, মানুষের কথা তুলে ধরেন—বিশ্বদৃষ্টিকে বদলে দেওয়ার যে কারিগরি পত্রিকা, তার মধ্যে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে প্রথম আলো। প্রথম আলোর যে ‘২৭, সত্যই সাহস’—এই সাহস নিয়ে প্রথম আলো আগামী দিনেও এগিয়ে যাবে, আমরা সে প্রত্যাশা করি।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে চাঁদপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল ইসলাম সরকার এসব কথা বলেন। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সভা পরিচালনা করেন প্রথম আলোর চাঁদপুর প্রতিনিধি আলম পলাশ।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর হেড অব নিউজ (চট্টগ্রাম ডেস্ক) আশরাফ উল্লাহ। তিনি বলেন, শুরু থেকেই প্রথম আলোর লক্ষ্য ছিলো স্পষ্ট—আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করবো, কারো প্রতি পক্ষপাত করবো না এবং সত্য বলবো। প্রথম আলো সে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়নি। সত্য বলেই প্রথম আলো পাঠকের আস্থা অর্জন করে যাচ্ছে। পাঠকের সেই আস্থা নিয়েই প্রথম আলো এতোদূর এসেছে, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

সব সরকারের আমলেই প্রথম আলোকে ক্ষমতাসীনদের চাপের মুখে পড়তে হয়েছে উল্লেখ করে আশরাফ উল্লাহ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট শাটডাউন থাকলেও ছাপা কাগজই ছিলো একমাত্র তথ্য পাওয়ার উপায়। প্রথম আলো সে সময়েও পাঠকের অকুণ্ঠ সমর্থনে সত্য প্রকাশ করেছে। চাপের মুখেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ছাপিয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে পাঠকের আস্থার কারণে। পাঠকের সেই আস্থাকে দায়বদ্ধতা হিসেবে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাই, এগিয়ে যাবো। আলোচনা শেষে তিনি দর্শকদের কাছ থেকে নেওয়া বিভিন্ন সমালোচনামূলক প্রশ্নোত্তরেরও জবাব দেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও চাঁদপুর পৌর প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া। তিনি বলেন, আমি প্রথম আলোর একজন নিয়মিত পাঠক। প্রথম আলোর অনুপ্রেরণা পেয়েই জীবনে প্রথম সাংবাদিকতা করি। পরে সরকারি চাকরিতে যোগ দিই। কিন্তু প্রথম আলো পড়া ছাড়িনি। কারণ প্রথম আলো মানুষকে আলোর পথে চলতে শেখায়।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান বলেন, একটি সংবাদমাধ্যম বা সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। প্রথম আলো সেই দায়িত্ব নিয়ে শুরু থেকেই কাজ করছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও সততার সাথে তা অব্যাহত রাখবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা বলেন, পত্রিকাগুলো সব সময় নিরপেক্ষতার কথা বলে। কিন্তু সমাজব্যবস্থাই সবসময় সঠিক নয়। অনেক অসমাঞ্জস্যতা রয়েছে। দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি। এই দুর্নীতি রোধ করতে না পারলে অসমঞ্জস্যতা থেকেই যাবে। প্রথম আলোর কাছে আমরা চাই, এসব বিষয়ে আরও অনুসন্ধান করে তুলে ধরুক।

চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ইকবালুর রহমান বলেন, চাকরি জীবনের শুরু থেকেই প্রথম আলো পড়ি। কারণ শুরু থেকেই পত্রিকাটি নির্ভীক সাংবাদিকতা করে আসছে। আমরা চাই প্রথম আলো সকল প্রকার নৈরাজ্য থেকে জনগণকে মুক্ত করতে ভূমিকা রাখুক।

চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, প্রথম আলো সবার কথা বলে, ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে সবসময় সত্য প্রকাশ করে। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগীতশিল্পী রূপালী চম্পক বলেন, আমি প্রথম আলোকে ভালোবাসি, কারণ প্রথম আলো সবসময় ভালো কাজের পক্ষে মানুষকে এগিয়ে নেয়। নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ইশতিয়াক খান বলেন, প্রথম আলো জন্মলগ্ন থেকে যে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকবে।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা তথ্য কর্মকর্তা তপন বেপারী, চাঁদপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ড. মাইনুল ইসলাম মজুমদার, চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের পিপি ও জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট কোহিনুর বেগম, লেডি প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোরশেদা ইয়াসমিন, চাঁদপুর জেলা গণফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর, চাঁদপুর জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক মো. মাহবুব আলম ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা। পরে অনুষ্ঠানে অতিথিরা কেক কেটে প্রথম আলোর জন্মদিন পালন করেন। এ সময় চাঁদপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথম আলোর জন্মদিনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন গোলাম জাকারিয়া, রোজিনা আফরোজ মুক্তা, নুরুন্নাহার, সোহেল রুশদী ও গিয়াসউদ্দিন। সূত্র : প্রথম আলোর চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়