প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৫, ২০:৪৫
আলিম পাড়া-গাঙ্গুলি পাড়া সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ ফের বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তি চরমে

চাঁদপুর শহরের অভ্যন্তরে নির্মাণাধীন একটি রাস্তা আলিম পাড়া-গাঙ্গুলি পাড়া সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ আবারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ২৩ মে ২০২৫ (শুক্রবার) দুপুরে চাঁদপুর রেলওয়ের লোকজন সড়কের চলমান নির্মাণ কাজটি বন্ধ করে দেন।
|আরো খবর
জানা যায়, চাঁদপুর পৌরসভার অর্থায়নে চাঁদপুর সিএসডি গোডাউন সংলগ্ন রেললাইন অতিক্রম করে নতুন এই সংযোগ সড়কটির নির্মাণ কাজ হচ্ছিলো। রেলওয়ের জমি ব্যবহার সংক্রান্ত অনুমতি না থাকার অজুহাতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আবারও সড়কটির চলমান নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
এর আগে গত প্রায় ৪-৫ মাস পূর্বে এই সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। স্থানীয়দের সক্রিয় অংশগ্রহণে বাউন্ডারি ভাঙ্গা, গাছ কাটা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরানোসহ সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাস্তাটি নির্মাণের পথ উন্মুক্ত করা হয়। ইতোমধ্যে রাস্তাটির প্রায় ৬০ শতাংশ ঢালাই কাজ শেষ হয়েছিলো। শহরের প্রতাপ সাহা রোডের লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনের গেট থেকে ছায়াবাণী রেলগেট পর্যন্ত এ সড়কটি নির্মাণ হলে শহরের পালপাড়া, আলিম পাড়া, প্রতাপ সাহা রোড, উকিল পাড়া, নতুন বাজারসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লার মানুষজনের সংক্ষিপ্ত পথে যাতায়াতের পথ সুগম হতো। তবে কাজ এগিয়ে চলার মাঝেই গত ২০-২৫ দিন আগে প্রথমবার হঠাৎ রেলওয়ে কর্মকর্তারা গিয়ে কাজটি বন্ধ করে দেন। পরে স্থানীয় উদ্যোগে ও চাঁদপুর পৌরসভার অনুমতি নিয়ে তিন দিন আগে পুনরায় কাজ শুরু হলেও শুক্রবার দুপুরে রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মারুফ হোসেনসহ রেলওয়ের অন্যান্য লোকজন গিয়ে আবারো নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টার মারুফ হোসেন বলেন, রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) কামরুল ইসলাম আমাদের জানিয়েছেন, রেলওয়ের অনুমতি ছাড়া রেল সম্পত্তিতে কোনো ধরনের নির্মাণ কার্যক্রম চলতে পারে না। তাই তিনি আমাদেরকে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এসে কাজটি বন্ধ রাখার জন্য বলেছি।
এদিকে প্রতাপসাহা এলাকার এই রাস্তাটি চালু হলে স্থানীয় কয়েক শত পরিবার ছাড়াও শহরের আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ, লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয়সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর উপকৃত হতো। পাশাপাশি শহরের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে বিকল্প এবং দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠতো।
কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এতদূর এসে যদি কাজ বন্ধ হয়ে যায়, তবে আমরা কোথায় যাবো? আমরা নিজেরা জায়গা ছেড়েছি, খরচ করেছি, এখন যদি অনুমতির জন্য অপেক্ষা করতে হয়, তবে তা যেনো দ্রুত সমাধান হয়। তা না হলে বর্ষায় পুরো রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক হবে।
এদিকে চাঁদপুর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, কাজটি রেলওয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হচ্ছে। এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি— মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দ্রুত এই সংযোগ সড়কটির কাজ আবার শুরু করার ব্যবস্থা করা হোক।