বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৫, ১৬:১০

গল্লাকে বোরোপিট খালের কচুরিপানা অপসারণকালে ইউএনও সুলতানা রাজিয়া

সরকারের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো এগিয়ে আসলে কঠিন কাজও সহজেই সমাধান সম্ভব

প্রবীর চক্রবর্তী
সরকারের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো এগিয়ে আসলে কঠিন কাজও সহজেই সমাধান সম্ভব

ডাকাতিয়া নদীসহ চাঁদপুর সেচ প্রকল্পভুক্ত খাল ও বোরোপিট খাল সমূহে কচুরিপানা জটের কারণে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হওয়া, পচে দুর্গন্ধ ছড়ানো, মাছ মরে যাওয়া এবং সর্বোপরি কৃষকদের সেচকার্যের জন্যে পানি উঠানো দুরূহ হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা সমাধানের জন্যে কৃষকসহ ভোগান্তির শিকার লোকজন কচুরিপানা অপসারণ করার দাবি জানায়। সর্বশেষ সিআইপি কৃষক সংগ্রাম কমিটি, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর এই বিষয়টি নিয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আবেদনে সাড়া দিয়ে সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেন কর্তৃপক্ষ। সেই আলোকে প্রাথমিকভাবে চাঁদপুর সেচপ্রকল্পভুক্ত বোরোপিট খাল থেকে কচুরিপানা অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

বুধবার (১৮ জুন ২০২৫) সকালে চাঁদপুর সেচপ্রকল্পভুক্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গল্লাক বাজারের সন্নিকটস্থ বোরোপিট খাল থেকে কচুরিপানা অপসারণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া । এ সময় উপস্থিত ছিলেন গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান পাটওয়ারী, সিআইপি কৃষক সংগ্রাম কমিটি চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের সদস্য রহিমা কলি, আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ।

ভরা বর্ষার প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যেও কচুরিপানা অপসারণ কর্মসূচির উদ্বোধন করতে গিয়ে ইউএনও সুলতানা রাজিয়া বলেন, আমরা টেস্ট কেস হিসেবে গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গল্লাক বাজারের সন্নিকটস্থ বোরোপিট খাল থেকে কচুরিপানা অপসারণ শুরু করেছি। এটি সফল হলে পর্যায়ক্রমে তার পরিধি বাড়ানো হবে। এতোবড় একটি উপজেলার ডাকাতিয়া নদী ও সিআইপিভুক্ত খাল ও বোরেপিট খাল সমূহের কচুরিপানা জট অপসারণ করা সরকারের একার পক্ষে দুরূহ। তবে জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো এগিয়ে আসলে অনেক কঠিন কাজও সহজেই সমাধান করা সম্ভব। তাছাড়া শুধু এখন কচুরিপানা সরানো হলেও কিছুদিনের মধ্যে আবারো নুতন কচুরিপানা জন্ম নিয়ে বা অন্যস্থান থেকে এগুলো ভেসে এসে আবারো জটলার সৃষ্টি করবে। তাই জনপ্রতিনিদেরকে এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে। নিজ এলাকার খাল ও নদীকে কচুরিপানা মুক্ত রাখতে উদ্যোগী হতে হবে।

সিআইপি কৃষক সংগ্রাম কমিটি চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর সদস্য রহিমা কলি জানান, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আজ থেকে কচুরিপানা অপসারণ কর্মসূচি শুরু হলো। এর আাগে লক্ষ্মীপুর জেলাতে একই ভাবে সেচপ্রকল্পভুক্ত বোরোপিট খাল থেকে কচুরিপানা অপসারণ করা হয়।

গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান পাটওয়ারী বলেন, আমাদের নদী ও খালগুলোতে কচুরিপানা এক বড়ো সমস্যা। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। খাল ও নদীতে যেন বাঁধ দিয়ে কেউ এগুলো আবদ্ধ করে না রাখে, সেজন্যে পাড়ের লোকজনকে সজাগ থাকতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়