শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৫, ১৮:৫৮

সমবায়ী জসিম শেখ ও ব্যবসায়ী সেলিম খানের নতুন পোশাক পেয়ে ঈদের খুশি চাঁদপুর শিশু পরিবারে

স্টাফ রিপোর্টার
সমবায়ী জসিম শেখ ও ব্যবসায়ী সেলিম খানের নতুন পোশাক পেয়ে ঈদের খুশি চাঁদপুর শিশু পরিবারে

মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বড়ো ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদকে সামনে রেখে সকলেই চেষ্টা করে পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে। একটি পরিবারে ঈদের আনন্দ সবচে' বেশি উপভোগ করে শিশু-কিশোর বয়সীরা। নতুন নতুন পোশাক কেনা থেকে শুরু করে সহপাঠীদের নিয়ে তারা ঈদ আনন্দ উদযাপন করে। তাদের আনন্দ দেখেই পরিবারের লোকজনদের আনন্দ অনেক বেড়ে যায়।

আমাদের সমাজের চারপাশে এমন অনেক এতিম, অসহায় শিশু-কিশোর রয়েছে, যাদের কাছে ঈদের দিনে আনন্দ উপভোগটা অন্যান্য দিনের মতোই কষ্টের ও বেদনার হয়ে থাকে। ঈদের আনন্দ উপভোগ করাতো দূরের কথা, ঈদের দিনেও তারা প্রতিদিনের মতোই দুবেলার খাবার জোগাতে হিমশিম খেয়ে থাকে। সেসব শিশুর কথা চিন্তা করে চাঁদপুর সরকারি শিশু পরিবারের এতিম শিশুদের ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ করে তুলতে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন চান্দ্রা শিক্ষিত বেকার যুব বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন শেখ ও ইয়র্ক ফ্যাশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. সেলিম খান।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এসব এতিম শিশুর জন্যে সমবায়ী মো. জসিম শেখ ৫০ হাজার টাকা ও ইয়র্ক ফ্যাশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. সেলিম খান ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আরো ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় সমবায়ী মো. জসিম উদ্দিন শেখের সাথে। তিনি বলেন, আসলে এসব শিশু অভিভাবকহীন, এতিম ও অসহায়। অন্তত ঈদের দিন যেন তারা বুঝতে না পারে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই, অনন্ত একটি দিন তারা আনন্দ ও খুশিতে কাটাক। তার জন্যেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।

কথা হয় ব্যবসায়ী মো. সেলিম খানের সাথে। তিনি জানান, আসলে আমি কিছু করি না, যতোটুকু করা দরকার ততোটুকু করা সম্ভব হয়ে উঠে না । চেষ্টা করি এ ধরনের সামাজিক বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। এতিম শিশুদের পাশে থাকতে পেরে ভাল লাগছে। এতোটুকুই।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, আসলে পরিবারের সকলকে নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আমরা কতো কিছুই না করি। এতো কিছু করেও মনে হয় যেন ঈদের আনন্দ আরো একটু করতে পারলে ভালো হতো। আমাদের সমাজের চারপাশে অনেক এতিম, অসহায় রয়েছেন, তারা আমাদের মতো পরিবার নিয়ে ঈদের আনন্দ করা দূরে থাক, তাদের কাছে ঈদের দিনটা অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক কষ্টের হয়ে থাকে।

সরকারি শিশু পরিবারের এতিম শিশুদের আনন্দকে বাড়াতে চান্দ্রা শিক্ষিত বেকার যুব বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন শেখ ও ইয়র্ক ফ্যাশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. সেলিম খান সহযোগিতা করায় তাঁদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সমাজে অনেক বিত্তবান রয়েছেন, তারা যদি উনাদের মত এসব এতিম শিশুর ঈদের আনন্দ বাড়াতে এগিয়ে আসেন, তাহলে এসব শিশুও বড়ো হয়ে তাদের মতো করে একদিন সমাজের অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর মনোভাব অর্জন করবে।

সরকারি শিশু পরিবার সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে জেলা শিশু পরিবারে শতাধিক শিশু রয়েছে, যারা সকলেই এতিম।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়